#ছোট_বেলার_প্রেম_তুমি #পর্ব-৪
লেখকঃ Arian Sumon..
আমিঃ অনার্স এ পড়ো। তারপরেও এর মাথামোটা তুমি।
সিনথিয়াঃ কিহ আমি মাথামোটা ( রেগে)
আমিঃ হুম
সিনথিয়াঃ এখন কিছু বলব না। ইন্টার্ভিউ দিয়ে আসেন তারপর। বুঝাব মজা।।
আমিঃ আজ্ঞে ম্যাম।
পরে ইন্টার্ভিউ দিতে গেলাম।
”
”
”
ইন্টার্ভিউ শেষে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। এত বাজে ইন্টার্ভিউ হবে ভাবিতেও পারিনি। খুব বাজে। যাহোক হেটে হেটে যাচ্ছি। পথেই শাওনের সাথে দেখা হয়ে গেল।
শাওনঃ কিরে ইন্টার্ভিউ কেমন দিলি?
আমিঃ দূর এসব ভালো মানুষ দেয় নাকি।
শাওনঃ কেন কি হয়েছে
আমিঃ ফাউল যত্তসব। আমারে জিগাসা করে আমার গালফ্রেন্ড আছে নি
শাওনঃ তারপর তুই কি বললি
আমিঃ কোন টা বললে ঠিক হবে বুঝতে না পেরে। বলে দিছিলাম যে নাই।
শাওনঃ মিথ্যা কইছত
আমিঃ আর কি করমু। এরকম আজাইরা প্রশ্ন কেউ করে বল
শাওনঃ কি কমু।
ওর সাথে আড্ডা দিয়ে রাতে বাসায় আসলাম।
কারো সাথে কথা না বলেই নিজের রুমে চলে গেলাম।
রুমে গিয়ে ফ্রেশ হলাম। তারপর খাওয়ার জন্য গেলাম।
খাবার টেবিলে,,
আব্বুঃ কিরে ইন্টার্ভিউর কি অবস্থা বললি না যে?
আমিঃ মনে হয় না যে চাকরি হবে
আব্বুঃ কেন রে?
আমিঃ ইন্টার্ভিউ ভালো হয়নি।
আব্বুঃ ও ব্যাপার না।
যাহোক খাওয়া ধাওয়া শেষে রুমে চলে গেলাম।
অনেক ক্ষন যাবৎ সিনথিয়ার সাথে কথা বলিনা। তাই দিলাম সিনথিয়া কে ফোন।
ও ফোন রিসিভ করল,,
সিনথিয়াঃ এতক্ষনে সময় হলো আপনার
আমিঃ একটু আগেই তো বাসায় ফিরলাম। খাইয়া ফ্রেশ হয়ে এখন তোমাকে ফোন দিলাম
সিনথিয়াঃ বাব্বারে বাব্বা কি মহৎ কাজ টা করিয়া ফেলছে।
আমিঃ করেছি তো।
সিনথিয়াঃ হইছে ভাষন দিবানা এখন।
আমিঃ ওকে।
সিনথিয়াঃ কি করো
আমিঃ শুইলাম মাত্র। আচ্ছা তুমি খাইছ?
সিনথিয়াঃ হুম খেয়েছি।
ওর সাথে কথা বলতে বলতে ঘুমিয়ে গেলাম।।
”
”
”
কয়েকদিন পর,,,
সিনথিয়ার সাথে পার্কে ঘুরাঘুরি করতেছি। হঠাৎ তিন্নি সামনে এসে দাড়ালো। চিনেও না চেনার ভান ধরে হাটা ধরলাম।
আমি পাশ কাটিয়ে চলে যাব। তখনি সিনথিয়া আমার হাত ছেড়ে দিল। সিনথিয়া মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে রয়েছে।
আমিঃ দাঁড়িয়ে গেলে কেন তুমি
(ও মাথা নিচু করেই দাঁড়িয়ে রয়েছে।)
আমিঃ আর আপনি আমাদের পথ আটকে দাঁড়িয়েছেন কেন?
তিন্নিঃ ওরে জিগাসা কর
আমিঃ তুই ??
তিন্নিঃ সিনথিয়া তুই বলবি নাকি আমি বলতাম?
আমিঃ wait wait.. আপনি ওরে চিনেন? সিনথিয়া ওনাকে তুমি চিনো?
সিনথিয়াঃ আমার আপু( নিম্ন সূরে)
আমি একবার তিন্নির দিকে তাকাচ্ছি একবার সিনথিয়ার দিকে তাকাচ্ছি।
তিন্নিঃ সিনথিয়া তোর ওর সাথে কি?
আমিঃ আমি বলছি
তিন্নিঃ আমি তোকে জিগাসা করিনি
আমিঃ excuse me… ও আমার গালফ্রেন্ড। আর হ্যা তুই তুকারির মানে কি?
তিন্নিঃ ছিহ সিনথিয়া ছিহ। তুই এমন করতে পারলি। লজ্জা লাগছে। তুই ওর মতো একটা লম্পট ছেলের সাথে এসব। ছিহ ভাবতেও লজ্জা লাগছে।
মাথা গরম হয়ে গেল।
আমিঃ লম্পট কে?? ( উচ্চ স্বরে)
তিন্নিঃ তুই আর কে হবে। মেয়েবাজ। গুন্ডা।
আমিঃ দেখ তুই যদি সিনথিয়ার বোন না হইতি তোকে আমি এখানেই থাপরাইতাম। মুখ সামলে কথা বল
তিন্নিঃ দেখছত সিনথিয়া দেখছত তুই কার সাথে প্রেম করছিস?
সিনথিয়াঃ আরিয়ান ওনি আমার আপু। ঠিক করে কথা বলো
আমিঃ তোমার আপু কি বলছে তা দেখো না।
তিন্নিঃ কি দেখবে। আমার তো ভাবতেও লজ্জা লাগছে। তোর মতো একটা লম্পটের সাথে কি করে ও সম্পর্ক করতে পারল।
মেজাজটা আর খারাপ হয়ে গেল।
দিলাম ঠাসসস করে এক থাপ্পড় তিন্নিকে।
সব নিরব। তিন্নি সিনথিয়া আমার দিকে তাকিয়ে রয়েছে।
তিন্নিঃ দেখছত সিনথিয়া
সাথে সাথেই সিনথিয়া আমাকে থাপ্পড় দিল।
তিন্নি সিনথিয়ার হাত ধরল। তারপর টান দিল। সিনথিয়াকে টানতে টানতে আমার সামনে থেকে নিয়ে যাচ্ছে।
একটা রিকশা ঢাকল। সিনথিয়া আর তিন্নি চলে গেল। একবারের জন্যও সিনথিয়া পিছু তাকালো না।
আমি আর কি করব বাসায় চলে আসলাম।
মেজাজটা এত খারাপ হয়ে আছে যে ইচ্ছে করছে সব ভেঙে ফেলি।
বাথরুমে চলে গেলাম। শাওয়ার ছেড়ে নিচে বসে পড়লাম। আমার রাগ উঠলে তা কন্ট্রোল করা অনেক কঠিন হয়ে যায়। অনেক ক্ষন পর মাথা ঠান্ডা হলো।
তারপর বেড় হয়ে। দিলাম সিনথিয়াকে ফোন। ফোন বন্ধ বলছে। খুব খারাপ লাগছে। তখন তিন্নি কে থাপ্পড় না দিলেও পারতাম। কিন্তু কি করব রাগ কন্ট্রোল করতে পারিনাই।।
”
”
”
টানা তিন দিন সিনথিয়ার কোনো খোজ পেলাম না। কলেজে আসেনা। ফোনও বন্ধ। চিন্তায় পড়ে গেলাম।
চতুর্থ দিন সিনথিয়াকে দেখতে পেলাম কলেজে দেখতেই ওর কাছে ছুটে গেলাম। ওর হাত ধরলাম। ও আমার হাত ছাড়িয়ে নিল।
আমিঃ কি সমস্যা কি তোমার??
সিনথিয়াঃ আমার কোনো সমস্যা নেই।
আমিঃ তাহলে ফোন অফ। কোনো যোগাযোগ করছ না কেন?
সিনথিয়াঃ আমার ভালো লাগছেনা
আমিঃ কি ভালো লাগছেনা বলো
সিনথিয়াঃ কিছুই না।
সিনথিয়ার হাত ধরলাম।
আমিঃ আচ্ছা I am sorry sinthiya..
সিনথিয়াঃ হাত ছাড়ো।
আমিঃ আমি ইচ্ছে করে মারতে চাইনি । রাগের মাথায় হয়ে গিয়েছে।বুঝনা কেন
সিনথিয়াঃ এই রিকশা( রিকশা ওয়ালাকে ডাকল)
আমিঃ আমি কিছু বলতেছিলাম তোমাকে
সিনথিয়া কিছু না বলেই হাত ছাড়িয়ে রিকশায় উঠে গেল। রিকশা টান দিল।
তখনি আমার সামনে এসে দাড়ালো তিন্নি। এসেই একটা সয়তানি হাসি দিল।
তিন্নিঃ কি অবস্থা মিষ্টার
আমিঃ তুমি কিন্তু কাজ টা ঠিক করতেছ না
তিন্নিঃ আমি ঠিক করছি কি করছি না তা তোর বুঝতে হবেনা। তোর মতো লম্পটের সাথে আমার বোন প্রেম করবে আমি মেনে নিব ভাবলি কি করে
আমিঃ দেখ তিন্নি তুমি খুব ভালো করেই জানো আমি লম্পট নই। সো এসবের কোনো মানেই হয় না
তিন্নিঃ তোকে আমার পছন্দ না।
আমিঃ ধ্যাত তোর পছন্দ দিয়া আমার কি? সিনথিয়া তো করে। এবং ভালোওবাসে
তিন্নিঃ হাহাহা হাসাইলি। দেখছিস জাস্ট তিন দিনেই ওর কি অবস্থা করে দিছি ও তোর সাথে কথাও বলতে চায়না। বাকি সব কয়েকদিনের মধ্যেই আমি ডিসমিস করে দিব। wait and see.. দেখবি
আমিঃ তুই যাই করিস আমার আমার ভালোবাসার উপর বিশ্বাস আছে। আমি সিনথিয়াকেই বিয়ে করব।
তিন্নিঃ বিয়ে হাহাহহা। জীবনেও হবেনা। সিনথিয়াকে খুব যলদিই বিয়ে দিব। তুই তাকিয়ে তাকিয়ে দেখবি
আমিঃ পারলে দিস।
তিন্নিঃ হ্যা দিব। তুই পারলে ভেঙে দেখাইছ।
আমিঃ হ যা।
তিন্নি হাটা ধরল। দেখলাম সিনথিয়া রিকশা নিয়ে অপেক্ষা করছে। ওরা দুজন রিকশা করে চলে গেল।
ইচ্ছে করছে তিন্নিকে খুন করে ফেলি। আমার লাইফ টা আগেও একবার খেয়ে দিয়েছিল। এখন ও আবার আসছে। কালনাগিনী হয়ে।
এমন সময় তুষার আসল,,
তুষারঃ দেখ ভাই। তিন্নি এখন তোর প্রতিপক্ষ হয়ে গেছে। আর আমার যতটুকু মনে হচ্ছে সিনথিয়ার উপর পরিবারের প্রেশার রয়েছে।
আমিঃ কি করব বল এখন। কে জানতো সিনথিয়া ওর বোন হবে।
তুষারঃ আপন বোন নয় খালাতো বোন।
আমিঃ যাইহোক বেজাল তো লাগিয়ে দিছে এটা থেকে বাঁঁচব কি করে বল।
তুষারঃ সময় দে দেখি কি করা যায়।
TO BE CONTINUE
The post ছোট বেলার প্রেম তুমি পর্ব-৪ appeared first on Real worlds || ভালবাসার-গল্প, কৌতুক, টিপস, বিনোদন, জীবনী.
from Real worlds || ভালবাসার-গল্প, কৌতুক, টিপস, বিনোদন, জীবনী
0 Comments
Give your valuable feedback !