স্ত্রীর হক আদায়ে অবহেলা

স্ত্রীর হক আদায়ে অবহেলাঃ বর্তমান অবস্থা হলো, স্বামী তো স্ত্রীর কাছ থেকে তার হক ষোল আনার স্থলে আঠার আনা আদায় করে ছাড়ে। কিন্তু নিজে স্ত্রীর হক আদায় করবে তো দূরের কথা, তার উপর স্ত্রীর কোন হক আছে বলেও মনে করে না। যেমন, অনেক পিতা-মাতা আপন সন্তান-সন্ততি থেকে তাদের সম্পূর্ণ হক আদায় করে নিতে কোনই কসূর করে না। কিন্তু তাদের উপরও যে সন্তানের কিছু হক রয়েছে, তা তাদের আচরণ থেকে বুঝে আসে না। এর অন্তর্নিহিত কারণ এই যে, শাসক নিজেকে জীবিত মনে করে এবং শাসিতকে মৃত মনে করে। ফলে শাসকের হক তো কড়ায়-গণ্ডায় আদায় হয়ে যায়। আর শাসিতের হক অবহেলার আবর্তে ঢাকা পড়ে যায়। এজন্যই অধিকাংশ রাজা-বাদশাগণ প্রজা সাধারণ থেকে নিজেদের অধিকার তো তিলে তিলে আদায় করে নেয়। কিন্তু প্রজা সাধারণের অধিকারসমূহ উপেক্ষিত হতে থাকে। তাদের শান্তি, স্বস্তি, নিরাপত্তা এবং অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান সবকিছুই অবহেলিত হয়। এভাবে রাজা-বাদশাদের থেকে নিয়ে সর্বনিম্ন স্তর পর্যন্ত শাসক শ্রেণী নিজেদের অধিকার ও কল্যাণ সাধনে সদা সচেষ্ট থাকে। কিন্তু শাসিতদের অধিকারের প্রতি ভ্রূক্ষেপও করে না। পিতার শাসন-কর্তৃত্ব পুত্রের উপর, স্বামীর শাসন কর্তৃত্ব স্ত্রীর উপর, মনিবের শাসন-কর্তৃত্ব ভৃত্যের উপর, শিক্ষকের শাসন কর্তৃত্ব ছাত্রের উপর, পীরের শাসন-কর্তৃত্ব মুরীদের উপর তথা প্রতিটি স্তরেই এক অবস্থা বিরাজমান। যে শাসন কর্তৃত্বের অধিকারী হয়, সে আপন অধিকার পরিপূর্ণরূপে আদায় করে নিতে সোচ্চার থাকে। আর যার উপর শাসন কর্তৃত্ব চলে, সে অবহেলিতই থেকে যায় । তার অধিকারকে অধিকারই মনে করা হয় না। কারণ, সে আপন অধিকার আদায় করে নেয়ার ক্ষমতা রাখে না। হ্যাঁ! যারা শাসকের সাথে মুকাবিলায় অবতীর্ণ হয়ে এবং শক্তি প্রদর্শন করে নিজেদের অধিকার আদায় করে নিতে সক্ষম, তাদের অধিকার কিছুটা আদায় হয় বটে। প্রবাদ রয়েছে, “লাঠি যার মহিষ তার।” স্বামী মনে করে তার হক জীবিত। কারণ, সে তা আদায় করে নিতে সক্ষম। পক্ষান্তরে অসহায় স্ত্রী যেহেতু আদায় করতে সক্ষম নয়, তাই তার হককে মৃত মনে করা হয় । অথচ ইসলাম এ জাতীয় মৃত হক আদায় করার প্রতি অধিকতর গুরুত্ব আরোপ করেছে। হাদীস শরীফে আছে, “যে হক সম্পর্কে আল্লাহ ব্যতীত কেউ জানেনা- এমন কি হকদারও না, তার দাবীদার স্বয়ং আল্লাহ নিজে।” হাদীস শরীফের ভাষ্যমতে, যার কোন সাহায্যকারী নেই, তার সাহায্যকারী স্বয়ং আল্লাহ । এজন্যই মাজলুমের দো’আ আল্লাহর দরবারে প্রত্যাখ্যাত হয় না। মাজলুম যখন ফরিয়াদ করে, তখন আল্লাহ বলেনঃ لانصرنك ولو بعد حين “অবশ্যই আমি তোমাকে সাহায্য করবো, যদিও কিছু বিলম্বে। স্ত্রীর খরচ প্রদানে সংকীর্ণতাঃ অনেকে স্ত্রীর আবশ্যকীয় খরচ ও খাওয়া-পরা ইত্যাদিতেও সংকীর্ণতা করে থাকে স্ত্রী কোন জিনিস চাওয়া মাত্র হুমকি-ধমকি শুরু হয়ে যায় যে, “তুমি বহু অপচয় কর, এটার কি প্রয়োজন? ওটার কি প্রয়োজন?” স্ত্রীর খরচ নিয়ন্ত্রণ করার জন্য তার খরচের পরিমাণ নির্ধারণ করে দেয়। পূর্বে নির্ধারিত পরিমাণের চেয়ে এক পয়সাও বেশি দিতে রাজী নয়। চাই কোন মেহমান আসুক বা কেউ অসুস্থ হোক। বিশেষ প্রয়োজনবশত স্ত্রী অতিরিক্ত খরচ দাবী করলে তাকে শাসিয়ে দেয় যে, নির্ধারিত পরিমাণের চেয়ে অধিক দিতে পারবো না। ভদ্র ও সম্ভ্রান্ত মহিলারা স্বামীর আন্তরিকতা চায়। তথাকথিত নিয়ম-কানুন চায় না। খরচের ব্যাপারে এতই নিয়মনিষ্ঠ হলে নিজে তা পালন করে দেখানো উচিত যে, নির্ধারিত পরিমাণের চেয়ে অধিক কোন অবস্থাতেই খরচ করবে না। চাই অসুস্থ হও কিংবা নতুন কোন বিবাহ অনুষ্ঠান হোক বা অন্য কোন বিপদ-আপদ আপতিত হোক। হঠাৎ যদি মাথার উপর কোন মামলা-মোকদ্দমা এসে যায়, তখন দেখা যাবে কতটুকু নিয়ম মেনে থাকতে পারো। সমস্ত নিয়ম-কানুন তখন যথাস্থানে থেকে যাবে। হাজার হাজার টাকা পানির ন্যায় খরচ হয়ে যাবে। তাহলে অসহায় স্ত্রীর সাথে তার খরচ প্রদানে এত নিয়মকানুন কেন? সাধ্যানুযায়ী স্ত্রীর ভরণ-পোষণ ও যাবতীয় প্রয়োজন পূরণ করা, তাকে দ্বীন ও শরীয়ত শিক্ষা দেয়া এবং দ্বীনের উপর পরিচালিত করা তার একটি অন্যতম অধিকার। অনেকে স্ত্রীকে নিয়মিত ভরণ-পোষণ প্রদানে চরম অবহেলা করে এবং তাতে মাত্রাতিরিক্ত সংকীর্ণতার পরিচয় দেয়। নিজের স্ত্রীকে ফেলে রেখে অন্য কোন অসৎ নারীর প্রতি আসক্ত হয়ে তার পেছনে নিজের অর্থ-সম্পদ সবকিছু উজাড় করে দেয়। নিজের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম বিনষ্ট হওয়ার এবং জীবন কলংকময় হওয়ার কোনই পরোয়া করে না। যেন তার বুদ্ধি ও বিবেকের উপর পর্দা পড়ে গেছে এবং অসৎ কামনা চরিতার্থ করার জন্য সে কোমর বেঁধে মাঠে নেমেছে । অনেককে দেখা যায়, নিজে সুখ-সাচ্ছন্দে থাকে। খাওয়া-দাওয়া, পোশাক আশাকে তার বিলাসিতার অন্ত নেই। অথচ স্ত্রী ও সন্তান-সন্ততি অনাহারে অর্ধাহারে চরম দুঃখ-কষ্টের জীবন যাপন করে। স্ত্রী বাদী-দাসীর মত মানবেতর জীবন যাপন করবে, আর নিজে বিলাসিতা করবে, এর চেয়ে লজ্জাজনক আর কি হতে পারে? স্ত্রীর কাপড়-চোপড়ের খবর রাখবে না, তার খাবারের খোঁজ নিবে না- এটা কেমন কথা? অথচ পোশাক-আশাক ও সাজ-সজ্জার যথোপযুক্ত পাত্র তো স্ত্রী। পুরুষের জন্য আবার কিসের সাজসজ্জা? কোন কোন পুরুষ তো এমন ঘৃণিত চরিত্রের যে, নিজের ঘরে হুরের মত সুন্দরী স্ত্রী থাকা সত্ত্বেও সর্বদা অসৎ পরনারীদেরকে নিয়ে মশগুল থাকে। তাদের সাথেই তার দরম-মহরম। অথচ তার সুন্দরী স্ত্রী গৃহে নিঃসঙ্গ জীবন কাটায়। তার প্রতি সে ভ্রূক্ষেপও করে না। বাংলাদেশের নারীদেরকে ‘আল্লাহ এমনি ধৈর্য, সহনশীলতা ও কৃতজ্ঞতাবোধ দান করেছেন যে, স্বামীর এমন নির্দয় ও অমানবিক আচরণ সত্ত্বেও নীরবে শুধু অশ্রু বিসর্জন দেয়। স্বামীর গোপন ভেদ কারো কাছে প্রকাশ করে না। Rahat hosen আদায়ে অবহেলাঃ বর্তমান অবস্থা হলো, স্বামী তো স্ত্রীর কাছ থেকে তার হক ষোল আনার স্থলে আঠার আনা আদায় করে ছাড়ে। কিন্তু নিজে স্ত্রীর হক আদায় করবে তো দূরের কথা, তার উপর স্ত্রীর কোন হক আছে বলেও মনে করে না। যেমন, অনেক পিতা-মাতা আপন সন্তান-সন্ততি থেকে তাদের সম্পূর্ণ হক আদায় করে নিতে কোনই কসূর করে না। কিন্তু তাদের উপরও যে সন্তানের কিছু হক রয়েছে, তা তাদের আচরণ থেকে বুঝে আসে না। এর অন্তর্নিহিত কারণ এই যে, শাসক নিজেকে জীবিত মনে করে এবং শাসিতকে মৃত মনে করে। ফলে শাসকের হক তো কড়ায়-গণ্ডায় আদায় হয়ে যায়। আর শাসিতের হক অবহেলার আবর্তে ঢাকা পড়ে যায়। এজন্যই অধিকাংশ রাজা-বাদশাগণ প্রজা সাধারণ থেকে নিজেদের অধিকার তো তিলে তিলে আদায় করে নেয়। কিন্তু প্রজা সাধারণের অধিকারসমূহ উপেক্ষিত হতে থাকে। তাদের শান্তি, স্বস্তি, নিরাপত্তা এবং অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান সবকিছুই অবহেলিত হয়। এভাবে রাজা-বাদশাদের থেকে নিয়ে সর্বনিম্ন স্তর পর্যন্ত শাসক শ্রেণী নিজেদের অধিকার ও কল্যাণ সাধনে সদা সচেষ্ট থাকে। কিন্তু শাসিতদের অধিকারের প্রতি ভ্রূক্ষেপও করে না। পিতার শাসন-কর্তৃত্ব পুত্রের উপর, স্বামীর শাসন কর্তৃত্ব স্ত্রীর উপর, মনিবের শাসন-কর্তৃত্ব ভৃত্যের উপর, শিক্ষকের শাসন কর্তৃত্ব ছাত্রের উপর, পীরের শাসন-কর্তৃত্ব মুরীদের উপর তথা প্রতিটি স্তরেই এক অবস্থা বিরাজমান। যে শাসন কর্তৃত্বের অধিকারী হয়, সে আপন অধিকার পরিপূর্ণরূপে আদায় করে নিতে সোচ্চার থাকে। আর যার উপর শাসন কর্তৃত্ব চলে, সে অবহেলিতই থেকে যায় । তার অধিকারকে অধিকারই মনে করা হয় না। কারণ, সে আপন অধিকার আদায় করে নেয়ার ক্ষমতা রাখে না। হ্যাঁ! যারা শাসকের সাথে মুকাবিলায় অবতীর্ণ হয়ে এবং শক্তি প্রদর্শন করে নিজেদের অধিকার আদায় করে নিতে সক্ষম, তাদের অধিকার কিছুটা আদায় হয় বটে। প্রবাদ রয়েছে, “লাঠি যার মহিষ তার।” স্বামী মনে করে তার হক জীবিত। কারণ, সে তা আদায় করে নিতে সক্ষম। পক্ষান্তরে অসহায় স্ত্রী যেহেতু আদায় করতে সক্ষম নয়, তাই তার হককে মৃত মনে করা হয় । অথচ ইসলাম এ জাতীয় মৃত হক আদায় করার প্রতি অধিকতর গুরুত্ব আরোপ করেছে। হাদীস শরীফে আছে, “যে হক সম্পর্কে আল্লাহ ব্যতীত কেউ জানেনা- এমন কি হকদারও না, তার দাবীদার স্বয়ং আল্লাহ নিজে।” হাদীস শরীফের ভাষ্যমতে, যার কোন সাহায্যকারী নেই, তার সাহায্যকারী স্বয়ং আল্লাহ । এজন্যই মাজলুমের দো’আ আল্লাহর দরবারে প্রত্যাখ্যাত হয় না। মাজলুম যখন ফরিয়াদ করে, তখন আল্লাহ বলেনঃ لانصرنك ولو بعد حين “অবশ্যই আমি তোমাকে সাহায্য করবো, যদিও কিছু বিলম্বে। স্ত্রীর খরচ প্রদানে সংকীর্ণতাঃ অনেকে স্ত্রীর আবশ্যকীয় খরচ ও খাওয়া-পরা ইত্যাদিতেও সংকীর্ণতা করে থাকে স্ত্রী কোন জিনিস চাওয়া মাত্র হুমকি-ধমকি শুরু হয়ে যায় যে, “তুমি বহু অপচয় কর, এটার কি প্রয়োজন? ওটার কি প্রয়োজন?” স্ত্রীর খরচ নিয়ন্ত্রণ করার জন্য তার খরচের পরিমাণ নির্ধারণ করে দেয়। পূর্বে নির্ধারিত পরিমাণের চেয়ে এক পয়সাও বেশি দিতে রাজী নয়। চাই কোন মেহমান আসুক বা কেউ অসুস্থ হোক। বিশেষ প্রয়োজনবশত স্ত্রী অতিরিক্ত খরচ দাবী করলে তাকে শাসিয়ে দেয় যে, নির্ধারিত পরিমাণের চেয়ে অধিক দিতে পারবো না। ভদ্র ও সম্ভ্রান্ত মহিলারা স্বামীর আন্তরিকতা চায়। তথাকথিত নিয়ম-কানুন চায় না। খরচের ব্যাপারে এতই নিয়মনিষ্ঠ হলে নিজে তা পালন করে দেখানো উচিত যে, নির্ধারিত পরিমাণের চেয়ে অধিক কোন অবস্থাতেই খরচ করবে না। চাই অসুস্থ হও কিংবা নতুন কোন বিবাহ অনুষ্ঠান হোক বা অন্য কোন বিপদ-আপদ আপতিত হোক। হঠাৎ যদি মাথার উপর কোন মামলা-মোকদ্দমা এসে যায়, তখন দেখা যাবে কতটুকু নিয়ম মেনে থাকতে পারো। সমস্ত নিয়ম-কানুন তখন যথাস্থানে থেকে যাবে। হাজার হাজার টাকা পানির ন্যায় খরচ হয়ে যাবে। তাহলে অসহায় স্ত্রীর সাথে তার খরচ প্রদানে এত নিয়মকানুন কেন? সাধ্যানুযায়ী স্ত্রীর ভরণ-পোষণ ও যাবতীয় প্রয়োজন পূরণ করা, তাকে দ্বীন ও শরীয়ত শিক্ষা দেয়া এবং দ্বীনের উপর পরিচালিত করা তার একটি অন্যতম অধিকার। অনেকে স্ত্রীকে নিয়মিত ভরণ-পোষণ প্রদানে চরম অবহেলা করে এবং তাতে মাত্রাতিরিক্ত সংকীর্ণতার পরিচয় দেয়। নিজের স্ত্রীকে ফেলে রেখে অন্য কোন অসৎ নারীর প্রতি আসক্ত হয়ে তার পেছনে নিজের অর্থ-সম্পদ সবকিছু উজাড় করে দেয়। নিজের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম বিনষ্ট হওয়ার এবং জীবন কলংকময় হওয়ার কোনই পরোয়া করে না। যেন তার বুদ্ধি ও বিবেকের উপর পর্দা পড়ে গেছে এবং অসৎ কামনা চরিতার্থ করার জন্য সে কোমর বেঁধে মাঠে নেমেছে । অনেককে দেখা যায়, নিজে সুখ-সাচ্ছন্দে থাকে। খাওয়া-দাওয়া, পোশাক আশাকে তার বিলাসিতার অন্ত নেই। অথচ স্ত্রী ও সন্তান-সন্ততি অনাহারে অর্ধাহারে চরম দুঃখ-কষ্টের জীবন যাপন করে। স্ত্রী বাদী-দাসীর মত মানবেতর জীবন যাপন করবে, আর নিজে বিলাসিতা করবে, এর চেয়ে লজ্জাজনক আর কি হতে পারে? স্ত্রীর কাপড়-চোপড়ের খবর রাখবে না, তার খাবারের খোঁজ নিবে না- এটা কেমন কথা? অথচ পোশাক-আশাক ও সাজ-সজ্জার যথোপযুক্ত পাত্র তো স্ত্রী। পুরুষের জন্য আবার কিসের সাজসজ্জা? কোন কোন পুরুষ তো এমন ঘৃণিত চরিত্রের যে, নিজের ঘরে হুরের মত সুন্দরী স্ত্রী থাকা সত্ত্বেও সর্বদা অসৎ পরনারীদেরকে নিয়ে মশগুল থাকে। তাদের সাথেই তার দরম-মহরম। অথচ তার সুন্দরী স্ত্রী গৃহে নিঃসঙ্গ জীবন কাটায়। তার প্রতি সে ভ্রূক্ষেপও করে না। বাংলাদেশের নারীদেরকে ‘আল্লাহ এমনি ধৈর্য, সহনশীলতা ও কৃতজ্ঞতাবোধ দান করেছেন যে, স্বামীর এমন নির্দয় ও অমানবিক আচরণ সত্ত্বেও নীরবে শুধু অশ্রু বিসর্জন দেয়। স্বামীর গোপন ভেদ কারো কাছে প্রকাশ করে না। Rahat hosen

The post স্ত্রীর হক আদায়ে অবহেলা appeared first on Real worlds || ভালবাসার-গল্প, কৌতুক, টিপস, বিনোদন, জীবনী.



from Real worlds || ভালবাসার-গল্প, কৌতুক, টিপস, বিনোদন, জীবনী

Post a Comment

0 Comments